পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়নের মধ্য ভৈরমপুর গ্রামে ঘরের মধ্য থেকে এক বৃদ্ধ নারীর গলা কাটা মৃতদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রোকেয়া বেগম (৭০) ওই গ্রামের মৃত মোক্তার হাওলাদারের স্ত্রী।
নিহতের স্বজন এবং প্রতিবেশীরা জানান, রোকেয়ার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে লিটন হাওলদার আধা কিলোমিটার দূরে বাড়ি করে সেখানেই বসবাস করছেন এবং তার ছোট ছেলে মহসিন হাওলাদার সৌদি প্রবাসী। এছাড়া রোকেয়ার একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। তাই এক বছর আগে তৈরি করার টিনশেড বিল্ডিং একাই থাকতেন নামাজি এবং অত্যন্ত ধর্মভীরু রোকেয়া। তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশী দুই নারী তাকে ডাকতে যান। এরপর সে দরজা না খোলায় তারা পিছনে গিয়ে পিছনের দরজাটি খোলা পেয়ে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে রোকেয়ার মৃতদেহটি মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তবে হত্যাকারীয়া ঘরের জানালার গ্রিল ভেঙে প্রবেশ পর রোকেয়াকে হত্যা করে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘরের মধ্যে তেমন টাকা পয়সা ছিল না বলে জানান নিহতের বড় ছেলে লিটন। তবে তাদের সাথে জমিজমা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে জানান তিনি। কি কারনে এ হত্যাকান্ডের ঘটেছে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, বিষয়টি হত্যাকাণ্ড বলে ধারন করা হচ্ছে।
তদন্তের জন্য ফরেনসিক বিভাগের একটি টিম খবর দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম