জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের জামালগঞ্জ বাজারে পোল্ট্রি ও হ্যাচারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন টুকুর বাসায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর সুরম্য বাসা ‘মিশু নীড়ে’ ৬ জন মুখোশধারী ডাকাত প্রবেশ করে।
এসময় ডাকাতরা ইসমাইল হোসেন টুকু ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস আরাকে মারধর করে বেঁধে রেখে ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও দামি জিনিসপত্র লুট করে।
গৃহকর্ত্রী দাবি করেছেন, ডাকাতরা প্রায় পাঁচ লাখ নগদ টাকা, দেড়শ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তিন লাখ টাকা দামের ছয়টি ঘড়ি লুট করেছে। তবে মামলায় ৩০ ভরি স্বর্ণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানাগেছে।
ইসমাইল হোসেন টুকু বলেন, তাঁর স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকা বাসায় থাকেন। শুক্রবার রাতে তাঁরা খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে যান। রাত দুইটার পর ৬ জন মুখোশধারী ডাকাত দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাসায় ঢোকে তাঁদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। এরপর তাঁদের সবাইকে মারপিটের পর একটি ঘরে বেঁধে রেখে ডাকাতেরা বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয়তলায় গিয়ে আসবাবপত্র ভেঙে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও তিন লাখ টাকা দামের ছয়টি ঘড়ি লুট করে পালিয়ে যান। বাসার সিসি টিভি ক্যামেরায় ডাকাতির ঘটনার ফুটেজ রয়েছে।
গৃহকর্ত্রী বিলকিস আরা বলেন, মুখোশধারী পাঁচ জন ডাকাত আমাদের ঘরে ঢোকেছিল। একজন বাইরে পাহারা দিচ্ছিলেন। ডাকাতেরা আমাকে ও আমার স্বামীকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাঁরা আমাদের মারপিট করে একটি ঘরে আটকে রাখেন। প্রথম তলায় আমরা স্বামী-স্ত্রী থাকি। দ্বিতীয় তলায় ছেলের পরিবার থাকে। আমার ঘরের আলমিরাতে নগদ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ও একশ ভরি স্বর্ণ ও আমার ছেলের ঘরে আরও ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিল। ডাকাতেরা সবগুলো স্বর্ণালঙ্কার দামি ঘড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছে।
জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল এসপি) আরিফ হোসেন ও আক্কেলপুর থানার ওসি মাসুদ রানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক