দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)'র অ্যাকাডেমিক ভবনসহ সাতটি ভবনের নাম পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত সাধারন শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং ভবনসমূহের নাম পরিবর্তন করা হয়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে নামকরণ করা ৭টি হলের নাম পরিবর্তন করেছেন হাবিপ্রবি প্রশাসন।
হাবিপ্রবির ওয়েবসাইটে জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মো. খাদেমুল ইসলাম প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গত ২ জুন ২০২৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির এ সংক্রান্ত অফিস আদেশটি স্বাক্ষর করেন।
হাবিপ্রবির স্মারক নং হাবিপ্রবি/কাউন্সিল ২০১০/রিবোসিবা/প্রশা/২০২৫-৫১৪ অফিস আদেশ এর মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, গুগল ফর্মের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিতর্কিত নামের পরিবর্তন বিষয়ে নতুন নামের প্রস্তাব গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো যাচাই বাছাই করে গঠিত নামকরণ কমিটি বিভিন্ন শহীদ ও বিশিষ্ট জনের নামে নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করে। পরে ৫৯তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এসব সুপারিশ অনুমোদন করা হয়।
যেসব হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিজয় ২৪ হল, তাজউদ্দীন আহমেদ হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শহীদ আবরার ফাহাদ হল, শেখ রাসেল হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শহীদ নূর হোসেন হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বেগম রোকেয়া হল, আইভি রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নবাব ফয়জুন্নেছা হল, ড. এম. ওয়াজেদ মিয়া ভবনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভবন এবং শেখ সায়েরা খাতুন হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বেগম খালেদা জিয়া হল (প্রস্তাবিত)। বেগম খালেদা জিয়া হল প্রস্তাবিত নামকরনের বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির জানান, এই প্রস্তাবটি তার পরিবারের সদস্যগণের সম্মতি সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ