রাজবাড়ীর পাংশায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রকাশ্যে রাশেদুল ইসলাম (৩০) নামে বিএনপির কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
আজ শনিবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার পাংশা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের রাশেদুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। বেলা ২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুলের মৃত্যু হয়।
নিহত বিএনপি কর্মী রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের কেয়ামুদ্দিন শেখের ছেলে ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিরুল হক সাবু গ্রুপের কর্মী।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাশেদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন কৃষক গত মাসে পাট্টা থেকে ভোলা জেলায় ধান কাটতে যান। গতকাল শুক্রবার রাতে ধান কাটা শেষ করে বাড়িতে আসেন তিনি। সকালে বাড়ি থেকে স্থানীয় রূপিয়াট বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন ধান ভাগের জন্য। সকাল ৯ টার কয়েকজন সন্ত্রাসী নিভা বাজারে রাশেদুলকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরিবারের অন্য সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাশেদুলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল মারা যান।
নিহত রাশেদুলের ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে রফিক, ইকবাল, সুমনসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পূর্ব শত্রুতার জের ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের কারণে শনিবার সকাল ৯টার দিকে পাংশা ইউনিয়নের যুবদলের কর্মী রাশেদুলকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুলের মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনের নাম আসছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. শরীফ আল রাজিব বলেন, পাট্টাতে রাশেদুল নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে। বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ, কালুখালি থানা পুলিশের সাপোর্ট সেখানে রয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল