মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনের ঝুঁকিতে ছিল। যে কোনো সময় বিদ্যালয়টি ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ছিলেন দুশ্চিন্তায়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎকণ্ঠা।
অবশেষে এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে নদীর পশ্চিম পাড়ে বিদ্যালয়ের নামে ৮২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেখানে বিদ্যালয় নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে উচ্ছ্বসিত আনন্দ।
ছনকা গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. জয়নাল আবেদীন জানান, ২০১৫ সালে ধলেশ্বরী নদীর পূর্বপাড়ে ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর নদীভাঙনের ফলে বিদ্যালয়টি বিপর্যয়ের মুখে পড়ছিল। পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি নদীর পশ্চিম পাড়ে নিজস্ব ও নিরাপদ জমিতে স্থানান্তরের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমতি প্রদান করে। এরপর বিদ্যালয়ের নামে ক্রয়কৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, নদীর পশ্চিম পাড়ে সাড়ে চার হাজার লোকের বাস, বিপরীতে পূর্বপাড়ে মাত্র পাঁচ-ছয়শ’ লোক বসবাস করেন। বিদ্যালয়টি পশ্চিম পাড়ে স্থানান্তরিত হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ উপকৃত হবেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, সকল নিয়ম-কানুন মেনে বিদ্যালয়টি নদীর পশ্চিম পাড়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কিছু লোক শিক্ষার্থীদের পশ্চিম পাড়ে যেতে বাধা দিচ্ছেন, এতে কিছু শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “যখন বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন নদী অনেক দূরে ছিল। এখন এটি নদীভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই কোনো স্থায়ী ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়নি। পশ্চিম পাড়ে স্থানান্তর করায় বিদ্যালয়টি রক্ষা পেয়েছে এবং এখানে স্থায়ী ভবনসহ সকল ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক