গ্রাহকদের নামে ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের দায়ে এনজিও ‘আশা’র দুই কর্মকর্তাকে পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদি আল মাসুদ এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—ভোলার ব্যাংকেরহাট শাখার লোন অফিসার মো. নিজামউদ্দিন এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুন্সিরহাট শাখার ম্যানেজার মো. শহীদুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, লোন অফিসার হিসেবে ২০০৭ সালের ২০ মে এনজিও আশায় যোগ দেন নিজামউদ্দিন। পরবর্তী সময়ে তিনি ৬৩ জন গ্রাহকের নামে মোট ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২৫০ টাকার ঋণ বিতরণের তথ্য দেখিয়ে মাত্র ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৭ টাকা জমা দেন। বাকি ৫ লাখ ৮ হাজার ৭৮৩ টাকা এবং গ্রাহকদের কিস্তির আরও ৫২ হাজার ৯৪৫ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
মোট ৫ লাখ ৬১ হাজার ৭২৮ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১২ সালের ৩ জুন ভোলা থানায় মামলা করেন এনজিও আশার রিজিওনাল ম্যানেজার এসএম সোহেল মাহমুদ।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাজিমউদ্দিন মামলাটি তদন্ত শেষে তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক নিজামউদ্দিনকে দুই ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অপরদিকে শহীদুল ইসলামকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।তবে মামলার আরেক আসামি মো. আজাহারউদ্দিনকে আদালত খালাস দেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম