কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাক চলাচল শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। নৌপথটিতে প্রতিদিন তিনবার করে যাওয়া-আসা করবে ২৫০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতার ‘এমটি ভাষা শহীদ জব্বার’ নামের সি-ট্রাকটি। কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে মহেশখালী যাতায়াতের ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে ৫০ টাকা। অন্যদিকে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে মহেশখালী যেতে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিএ কক্সবাজার নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ইতোমধ্যে ভাড়া আদায়ের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর জেটিঘাটে সি-ট্রাক চলাচলের উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন। দিনে তিনবার করে সি-ট্রাকটি যাওয়া-আসা করবে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, সি-ট্রাক চলাচল নিয়ে দ্বীপের বাসিন্দারা উচ্ছ¡সিত। যাত্রীদের সুবিধার্থে মহেশখালী জেটিঘাটে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। জেটিঘাটের যাত্রীছাউনিতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩৮৮ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটারের পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীতে জনসংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি। আদিনাথ মন্দিরসহ উপজেলার নানা পর্যটন স্পটের কারণে সারা বছরই উপজেলাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
গত শুক্রবার নৌরুটটিতে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চালু করা হয়। কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় মহেশখালীর উদ্দেশে সি-ট্রাক ছেড়ে যাবে। মহেশখালী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা এবং বিকেল ৫টায়।
এদিকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে সি-ট্রাক চলাচল শুরু খবরে জেলার আরেক দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়াও সি-ট্রাক চালুর জন্য দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এব্যাপারে প্রচারণাও জোরদার হয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, ফেরি বা সি-ট্রাক চলাচলের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। একই সাথে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারেও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বড়ঘোপ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন ছোটন।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে এবং দীর্ঘদিনের অবহেলিত সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধান মিলবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এএম