ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আব্দুল হালিম মোল্লা (৬১) নামের এক বৃদ্ধার জিহ্বা কেটে গুরুতর আহত করার পর দুইদিন পর মারা যায় সে। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পাড়াগ্রামে। নিহত আব্দুল হালিম মোল্লা উপজেলার পাড়াগ্রাম বাজারে নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই এলাকার মৃত আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে।
থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে ১২ এপ্রিল বিকেলে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামের মিজানুর রহমান, শান্ত, লালটু, মজিবর ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হন আব্দুল হালিম। পরে ওইদিন রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার জিহ্বা কেটে মাহবুবের একটি বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালের দিকে সে মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, এটি একটি নির্মম ঘটনা। বৃদ্ধের জিহ্বা কেটে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুই পর তিনি মঙ্গলবার সকালের দিকে মারা যান হালিম মোল্লা। যতটুকু জানতে পেরেছি ধারের টাকা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অর্থ লেনদেনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ