সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় খানাখন্দ। বর্ষা মৌসুমে এ সড়কে সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করেন।
স্থানীয়রা জানান, সংস্কারের দুই বছর না ঘুরতেই সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সাধারণ যাত্রী, রোগী, স্কুলশিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য এ সড়কে যাতায়াত খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে। মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়তে হয় তাদের। বিশেষ করে এ সড়কের কাঞ্চনপুর, দোহালিয়া বাজার, রাজনপুর ও নিয়ামতপুর এলাকার অবস্থা একেবারেই বেহাল।
দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া পাঁচ বছর আগে এ সড়কের পানাইল ও নোয়াগাঁও এলাকায় দুটি সেতু বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। ওই সেতু দুটির কাজও অসম্পন্ন রয়েছে। খেয়া নৌকা দিয়ে ভাঙা অংশ পারাপার হতে হয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, দুই বছর আগে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সুনামগঞ্জ- ছাতক সড়কে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের দোহালিয়া বাজারের কওমি মাদরাসার সম্মুখে সৃষ্টি হযেছে বড় বড় গর্ত। এক একটি গর্ত প্রায় হাঁটু সমান। চরম ঝুঁকি নিয়ে এখান দিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যায় এসব গর্তে। পাানি ঢুকে বিকল হচ্ছে ইঞ্জিন। কাঞ্চনপুর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকা, রাজনপুর গ্রামের পয়েন্ট ও নিয়ামতপুর বাঁধের অংশেও খানাখন্দে বেহাল।
দোহালিয়া গ্রামের সিএনজিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বড় গর্ত হওয়ায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এটি মেরামত করা খুবই জরুরি।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জরুরি মেনটেইন্যান্স ওয়ার্কের আওতায় এটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, রবিবারে উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ নিয়ে কথা বলে দ্রুত মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।