চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন চলছে আমের ভরা মৌসুম। আমের রাজধানীখ্যাত এ জেলায় ক্ষীরশাপাতি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আম্রপালিসহ বিভিন্ন নাবি জাতের আম বেচাকেনা শেষ হয়েছে। এখন চলছে ফজলি, বারি-৪, আশ্বিনাসহ গৌরমতি আমের জমজমাট বেচাকেনা। আরও এক থেকে দেড় মাস আম বেচাকেনা চলবে, জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে, এবার আমের অন ইয়ার অর্থাৎ বেশি ফলনের বছর। চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ হাজার কোটি টাকার আম বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁচা ও পাকা এবং আম থেকে প্রক্রিয়াজাত পণ্য মিলে এ জমজমাট বাণিজ্য হওয়ার আশা আমচাষি, ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের। তাদের দাবি, প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজাতকরণ এবং রপ্তানি বৃদ্ধি হলে এর আকার আরও বাড়বে। জেলার বৃহৎ আমবাজার কানসাট, ভোলাহাট ও রহনপুরে ভিড় করছেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। আমের ওপর ভর করে চাঙা হয়েছে জেলার অর্থনীতি। এ বছর ব্রিটেনে আম পাঠানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে রপ্তানি বাণিজ্য। আমচাষি ও উদ্যোক্তা আহসান হাবিব বলেন, কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম যাওয়ার কথা রয়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম মানিক বলেন, কাঁচা ও পাকা আমের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করলে আমভিত্তিক অর্থনীতি আরও কয়েকগুণ বাড়বে। এজন্য সরকার ও কৃষি বিভাগের আম প্রক্রিয়াজাত পণ্যের দিকে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি, মনে করেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ও আমের প্রক্রিয়াজাত পণ্যে ৮ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার কথা আশ্বাস দেন তিনি। উল্লেখ্য, জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম উৎপাদন ও এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন।