নাটোরের লালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সেচ সরবরাহের সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। এতে বদলে গেছে তাদের ভাগ্য। শুষ্ক মৌসুমে অল্প খরচে সেচ সুবিধা পাওয়ায় কৃষকের এক ফসলি জমি এখন তিন ফসলিতে পরিণত হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পাওয়ায় এ বছর বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়মতো সেচ সরবরাহের ফলে ধানের শীষ ভালো হয়েছে এবং রোগবালাই তুলনামূলক কম ছিল। কৃষক আবদুল বারী জানান, আগে যখন ব্যক্তিগত ডিপ টিউবওয়েল বা অন্য উৎসে সেচ দিতে হতো, তখন খরচ অনেক বেশি পড়ত। এবার অল্প খরচে ধান চাষ করতে পেরেছি। দিলালপুর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক বলেন, আগে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় ধানের উৎপাদন অনেক কম হতো। বিগত বছরে যেখানে ৫/৬ মণ ধান হতো, এবার সেখানে ২৫/২৬ মণ ধান হবে। উপজেলা কৃষি অফিস ও বিএডিসি অফিস সূত্র জানায়, লালপুর উপজেলায় বিএডিসি ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২৭টি ও ব্যক্তি মালিকানায় ১৯৫টি বিদ্যুৎচালিত পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। এতে এ বছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে ১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এ থেকে ৬ হাজার ৩৩০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী জিয়াউল হক বলেন, সরকার কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, সেচ সুবিধার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠপর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছেন।
সঠিক সময়ে সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির ব্যবহার কৃষকদের ফলন বাড়াতে সহায়তা করেছে।