এক বুক রঙিন স্বপ্ন নিয়ে মাতৃভূমি থেকে দূরদেশ ওমানে যান। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা সেই রঙিন স্বপ্ন নিমিষেই নিশ্চিহ্ন করে দিল। ফিকে হয়ে গেল সব স্বপ্ন। রঙিন স্বপ্ন ফিরল সাদা কফিনের নিথর দেহে। ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট প্রবাসীর লাশ এক সঙ্গে ফিরেছে দেশে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের লাশ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এরপর লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিমানবন্দরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয় পুরো পরিবেশ। নেমে আসে শোকের আবহ। কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। এরপর লাশগুলো সন্দ্বীপে নেওয়া হয়। ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- সন্দ্বীপের মোহাম্মদ আমীন, সাহাবুদ্দিন, বাবলু, মো. রকি, মো. আরজু, মো. জুয়েল ও মোশারফ হোসেন এবং রাউজান উপজেলার চিকদাইর গ্রামের মো. আলাউদ্দিন। এর মধ্যে আলাউদ্দিনের জানাজা গত শনিবার রাতে এবং বাকি সাতজনের জানাজা গতকাল সকালে নিজ নিজ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাদের দাফন করা হয়। নিহত সাতজনই ওমানে সাগরে মাছ শিকারের কাজ করতেন। সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মং চিনু মারমা বলেন, গতকাল সকালে লাশ নিয়ে সন্দ্বীপে পৌঁছান স্বজনরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে সবার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। পরে নিজ নিজ গ্রামে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
জানা যায়, ৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় আট প্রবাসীকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে অন্য একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মোহাম্মদ আমীনের নেতৃত্বে তারা সবাই সাগরে মাছ ধরার পেশায় ছিলেন। সেদিনও সাগরে মাছ শিকার করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার ১০ দিন পর গত শনিবার আটজনের লাশ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।