সিলেট নগরীকে সুশৃঙ্খল এবং যানজটমুক্ত করতে জোটবদ্ধ হয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সিটি করপোরেশন। সড়ক ও ফুটপাত হকারমুক্ত, ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কঠোর অ্যাকশনে নেমেছে প্রশাসন। জঞ্জালমুক্ত সিলেট করতে প্রতিদিনই চলছে সাঁড়াশি অভিযান। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর গতকাল থেকে ঘোষণা দিয়ে শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ অভিযান। প্রশাসনের কঠোরতায় নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার পাশাপাশি বাড়ছে সৌন্দর্যও।
সিলেট নগরীর সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। সরকারি জায়গায় কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না বলেও আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল জেলা প্রশাসন। আর সড়ক ও ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে নেওয়া হয়েছিল কিছু সময়। গত মাসের শুরুর দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, লালদীঘি মাঠে অস্থায়ী মার্কেট তৈরি করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর শুরু হবে হকার উচ্ছেদ। গেল প্রায় এক মাসে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন মিলে হকার পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তুত করা হয় লালদীঘি মাঠ। এরপর সড়ক ও ফুটপাত থেকে হকারদের স্বেচ্ছায় সরে যেতে সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় ও প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের কারণে ইতোমধ্যে অনেক হকার চলে গেছেন লালদীঘি অস্থায়ী মার্কেটে। আর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল থেকে অভিযানে নামে প্রশাসন।
গতকাল বিকাল ৪টার দিকে নগরীর ৭টি পয়েন্টে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে শুরু হয় অভিযান। অভিযানকালে হকার উচ্ছেদের পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে রাখা সাইনবোর্ড ও জিনিসপত্রও উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানকে কেন্দ্র করে নগরীতে মোতায়েন করা হয় প্রায় আড়াই শ পুলিশ। অভিযানের পর সিলেট নগরীর কোথাও ফুটপাতে হকারদের বসতে দেখা যায়নি। এদিকে গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। সিলেট রেলস্টেশন থেকে এ অভিযান শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, হকারদের তাদের নির্ধারিত স্থানে চলে যেতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী তার দোকানের সামনে হকার বসতে দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।