বরিশাল নগরীতে জেলা পরিষদের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি ইজারা নিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য তিন বছর আগে নোটিস দিলেও অজ্ঞাত কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এক বছরের জন্য ইজারা নেওয়া জমি প্লট আকারে কিনে নেওয়া ব্যক্তিরা স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস করছেন। জানা গেছে, নগরীর বান্দরোড কোস্টাল বরফ কল এলাকায় বরিশাল জেলা পরিষদের মালিকানাধীন ১ একরের বেশি জমি রয়েছে। বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর সময় তার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন সিকদার ওই জমি বরিশাল বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ইজারা নেন।
ওই জমির কিছু অংশ শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় করেছে। একটি প্লটের মালিক সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর শ্বশুর আনোয়ার হোসেন সিকদারও। জামাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার প্রভাব দেখিয়ে ইজারা নেওয়া জমিতে স্থায়ী ভবন করার জন্য প্ল্যান অনুমোদন দিয়েছে সিটি করপোরেশন। নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্লট ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন। এর মধ্যে একেকটি প্লট তিন থেকে চারবার হাতবদল হয়েছে। একেকটি জমি প্লট করে ১৫-২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার আল-আমিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক বছরের জন্য জমি ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্থায়ী কোনো স্থাপনা করার নিয়ম নেই। তাই চেয়ারম্যান স্যার স্থাপনা খালি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অদৃশ্য কারণে সেই নোটিস নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনো কথাবার্তা হয়নি। এ বিষয়ে বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি সম্পর্কে জানি না।