বগুড়ায় নদীভাঙনের শঙ্কায় চার উপজেলার মানুষ। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীতে পানি বেড়েই চলছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাক্ষসী রূপ নিয়েছে এই নদী। ভাঙছে ঘরবাড়ি। জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, ধুনট ও শেরপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাঙালি এবং যমুনা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে দুই উপজেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবারের বসতবাড়ি-ফসলি জমিসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হুমকিতে রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষ পরিবারসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। আতঙ্কে অনেক পরিবার ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা যায়, ১৯৫৮ সাল থেকে বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় প্রমত্তা যমুনায় নদীভাঙন শুরু হয়। ১৯৭৭ সালের পর এই ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। ফলে বিভিন্ন সময়ে ডান তীরের ১২০টির বেশি গ্রাম নদীভাঙনের শিকার হয়ে সম্পূর্ণভাবে যমুনাগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে সারিয়াকান্দি উপজেলার অন্তারপাড়া, ধরবন, মানুরপাড়া, সাহানবান্ধা, নিজ তিতপরল, ধাপ, ময়ূরের চর, কাজলা, কুড়িপাড়া, বাওইটোনা, শালুখা, গজারিয়া, বাগবেড়, দেলুয়াবাড়ী, ধনতলা, নান্দিনারপাড়া, চন্দনবাইশা, বৈশাখী, রৌহাদহ, দড়িপাড়া, ইছামারা, গোদাখালি, দীঘাপাড়া, শেরপুর, শাকদহ, মথুরাপাড়া, চিলাপাড়া, কুমারপাড়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। ফলে এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে যমুনা নদী তার প্রবল স্রোতধারা নিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। তখন নদীর গতিপথের অবস্থান হয় ডানতীর ঘেঁষে।
এদিকে গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও শেরপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ১০টি গ্রামে বাঙালি নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।