নানান রঙের আলোর ঝলকানিতে শিল্পের সুষমায় সেজেছে রাজধানীর হাতিরঝিলের রাতের আকাশ। সে আলোর ঝলকানিতে মূর্ত জুলাই অভ্যুত্থানের রাজপথ ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলের নানান চিত্র, আন্দোলনকালীন স্লোগান ও গ্রাফিতি।
‘নাটক কম করো পিও’, ‘দিনে নাটক রাতে আটক’, ‘খুনি এখন ঘুমাইতেছে দিল্লি নামের স্বর্গতে’, ‘আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে’, ‘ঠক ঠক ঠক ঘরে কি ছাত্র আছে?’, ‘পাবলিক প্রাইভেট ভাই ভাই স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’ স্লোগান ও গ্রাফিতিতে মিউজিক্যাল ড্রোন শোতে হাতিরঝিলে চিত্রিত হয় জুলাই অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলো। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথভাবে আয়োজিত এ ড্রোন শোতে ২০০০ ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্পগুলো তুলে ধরা হয়। জুলাইয়ে বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা স্রোতের মতো বেরিয়ে এসে আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, সেই জীবন্ত মুহূর্ত ও স্লোগান এবং গ্রাফিতিসমূহ প্রদর্শন করা হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্মানে গতকাল রাতে হাতিরঝিলের এম্ফি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয় ‘১৮ জুলাই প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি রেসিস্ট্যান্স’ আসর। এর আগে সন্ধ্যায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা মঞ্চে আসার পর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর শহীদ আবরার ফাহাদকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র এবং হিরোস উইদাউট কেপস : প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিস ইন জুলাই প্রদর্শিত হয়। পরে জুলাইয়ের গানের আসরে সমবেত কণ্ঠে আহমেদ হাসান সানি, তাশফীসহ অন্য শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন। এরপর মঞ্চে আসে ব্যান্ডদল আর্টসেল। বর্ণাঢ্য এ আসরে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, সড়ক পরিবহন ও সেতু, রেলপথ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ।