প্রায় আড়াই দশক ধরে সিলেট জেলার কোনো উপজেলা কিংবা পৌরসভায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল না যুবদলের। ছয় বছর আগে করা আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছিল বিএনপির অন্যতম এই অঙ্গসংগঠনের কার্যক্রম। এবার জেলার আওতাধীন ১৮টি ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন দলটির নেতারা। এ নিয়ে পদপ্রত্যাশীদের মাঝে যেমন বেড়েছে তৎপরতা, তেমনি নেতা-কর্মীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, কমিটিতে ত্যাগী, পরীক্ষিত ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে যারা সক্রিয় ছিল তারাই স্থান পাবেন। সুযোগসন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারীদের জন্য দুয়ার থাকবে পুরোপুরি বন্ধ। কমিটি গঠনের আগে প্রতিটি ইউনিটে কর্মী সম্মেলন ও আসনভিত্তিক যুব সমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর সিদ্দিকুর রহমান পাপলুকে আহ্বায়ক ও মকসুদ আহমদকে সদস্যসচিব করে জেলা যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটি জেলার আওতাধীন ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌর ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছিল। এরপর ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিনকে সভাপতি ও মকসুদ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হলেও অধীনস্থ ১৮টি ইউনিট পূর্ণাঙ্গ হয়নি। সর্বশেষ ২০০০ সালে এ ইউনিটগুলো পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়েছিল। এরপর প্রায় ২৫ বছর কেটে গেলেও জেলার ১৮টি ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
এ নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা ছিল।
জেলা যুবদল সূত্র জানায়, প্রথমে প্রতিটি ইউনিটে ৫-১০ জনের একটি কমিটি অনুমোদন দেওয়া হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে ১০১ সদস্যের কমিটি জমা দেবেন। যাচাইবাছাই শেষে জেলা যুবদল ওই কমিটি অনুমোদন দেবে। চলতি জুলাই মাসের মধ্যে কর্মী সম্মেলন ও যুব সমাবেশ করে পরের মাসে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার জোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন একাধিক নেতা।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ জানান, শিগগিরই জেলার আওতাধীন যুবদলের ১৮টি ইউনিট পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেতে যাচ্ছে। প্রায় আড়াই দশক পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়ায় নেতা-কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।