সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সংস্কার ও ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ ব্লকেড করেছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থী। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান ও ব্লকেড করেন তাঁরা। অবরোধের কারণে শাহবাগ এবং আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো অবরোধের পর তাঁরা শাহবাগ ত্যাগ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসেন। ব্লকেড চলাকালে আন্দোলনকারীরা ‘জুলাই আবার এসেছে, ছাত্রসমাজ আবার জেগেছে’, ‘এ মুহূর্তে দরকার, পিএসসির সংস্কার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘নিশিরাতের ফলাফল, মানি না মানব না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। এগুলো হলো ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল পুনরায় প্রকাশ, নন-ক্যাডার বিধি ২৩ বাতিল বা সংশোধন, অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য স্পেশাল বিসিএসসহ সব পরীক্ষার আগে একটি যৌক্তিক সময় দিতে হবে।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘২০১৮ সালের নিশিরাতের নির্বাচনের অনুরূপভাবে ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে অবৈধভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেটা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের কথা পুরো দেশবাসী জানলেও তার কার্যত কোনো সমাধান সরকার করতে পারেনি, যা সরকারের দুর্বলতা। ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী সময়ে যাদের দ্বারা প্রশ্নফাঁস হয়েছে, তাদের এখনো বিচার না হওয়ার মানে সেই গোষ্ঠীটি এখনো শক্তিশালী।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রতি বিসিএসে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে ৪০০ থেকে ৫০০টি পদ সাধারণত বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার জেলা প্রশাসন থেকে অতিরিক্ত পদ সুপারিশ করা হলেও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সেগুলো আটকে আছে। এবার প্রায় ৬০ শতাংশ পদ পুনরায় সুপারিশ করা হয়েছে, যেগুলো মূলত খালি থাকার কথা নয়। অথচ এসব পদ অন্তর্ভুক্ত না করেই রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের দাবি পিএসসি সংস্কার এবং ৪৪তম বিসিএসের ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন। এ ছাড়া ফলাফলের সঙ্গে প্রিলি, রিটেন ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করতে হবে।’