আসন্ন কোরবানির ঈদের চামড়ার দাম যতক্ষণ ন্যায্য না হবে, ততক্ষণ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন। তবে দাম নির্ধারণে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে আজ আবার বৈঠক হবে সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, এতিমদের হক চামড়ার সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি বৈঠক করেছে। যেখানে বড় সিদ্ধান্ত হলো, মাদরাসা ও এতিমখানায় ৩০ হাজার টন লবণ দেবে সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো যতক্ষণ পর্যন্ত চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানি সম্পর্কিত বিষয়াদির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ কমিটির প্রথম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মাদরাসা ও এতিমখানায় ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একটি নির্দেশনামূলক ভিডিও তৈরি করে সেটি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হবে। ঈদের পরের দিন এ কমিটি আবার বসবে, দাম ঠিক রাখতে সব সময় মনিটরিং করা হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, আগে সারা দেশ থেকে একসঙ্গে কাঁচা চামড়া আসত। চামড়া পচে যাবে সে কারণে দাম না পেলেও বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে হয়েছে। এবার সেটা হবে না। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা চান গরিবের এই হক যেন ন্যায্যমূল্য পায়। তিনি বলেন, হাসিল ৫ শতাংশ থেকে কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। এ ছাড়া সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, সুষ্ঠু বাজার, পরিবহন ও দামে সঠিক বাস্তবায়ন হবে এবার। আমরা চাই এবার যেন খামারিরা কোরবানির পশু আনতে গিয়ে কোনো প্রকার কষ্ট না পান এবং পশুরাও যেন কোনো কষ্টের শিকার না হয়।