বিচারকসহ নানা সংকটে মামলার জট পড়ে। কিন্তু ব্যতিক্রম বরিশালের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। প্রয়োজনীয় সবকিছু থাকলেই নেই বিচার করার মতো একটি মামলাও। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো মামলা ছাড়াই চলছে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালটি। মামলা ছাড়া ট্রাইব্যুনালের বিচারকসহ কর্মরতরা শুধু অফিসে এসে অলস সময় কাটিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কাজী হুমায়ুন কবির বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ মামলাটির রায় হয়। এর পর থেকে ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলা নেই। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৩টি মামলার বিচার হয়েছে এ ট্রাইব্যুনালে। সব মামলার আসামি খালাস পেয়েছেন। বরিশালের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের ১০ তলায় ট্রাইব্যুনালের এজলাস। বর্তমানে একজন বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ মর্যাদা), একজন বেঞ্চ সহকারী, একজন পিএ টু স্টেনোগ্রাফার, দুজন অফিস সহকারী ও বিচারকের গাড়িচালক রয়েছেন।
এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি কাজী বসির উদ্দিন বলেন, জঙ্গিদের মামলা দ্রুত বিচারে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। গত সরকারের সময় এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও তিনি পিপি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটি মামলা পেয়েছেন। তিনটি মামলার রায় হয়েছে।
পিপি বলেন, ট্রাইব্যুনালে সবকিছু আছে কিন্তু কোনো মামলা নেই। এ আইনের মামলা না হলে কোনো কাজ হবে না। সবাই বসে থাকবেন। সরকারের বেতন-ভাতা নেবেন। কিন্তু সরকারের কোনো কাজে আসবে না।