রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেরশাহ সুরি রোডে চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আবাসন ব্যবসায়ীর বাসায় প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতা হাসান মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, মাদক বিক্রির সামগ্রী, একটি মোটরসাইকেল, নগদ ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হাসান মাহমুদ ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসচিব ছিলেন।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান বলেন, হাসান মাহমুদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে চাঁদা চেয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তাকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
এর আগে ৭ মে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহম্মেদ খান ইকরামের স্বাক্ষর করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে হাসান মাহমুদকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুর শেরশাহ সুরি রোডে এক আবাসন ব্যবসায়ীর বাসায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন অভিযুক্তরা হেলমেট পরিহিত থাকায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবে গোয়েন্দা তথ্য, পোশাক এবং শারীরিক গঠন বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান মাহমুদ অস্ত্র রাখার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন এবং তাকে ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।