রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত বছরের জুলাই মাসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগে গতকাল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী রেজিস্ট্রারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেসপাস শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মোকতারুল ইসলাম (৪০) ও সহকারী রেজিস্ট্রার নিরাপত্তা শাখা রফিউল হাসান রাসেল। এর আগে বুধবার মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় বেরোবির শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন বেরোবির রেজিস্ট্রার মো. হারুন উর রশিদ। মামলায় তৎকালীন পুলিশের উপকমিশনার, ওসি, পুলিশ সদস্য, বেরোবির শিক্ষক-কর্মকতা-কর্মচারী, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি শতাধিক। গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাজহাট থানার ওসি শাহ আলম সরদার বলেন গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বেরোবির সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান শামীমকে। শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে আসামি করা হয়েছে বেরোবির গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের আসাদ মন্ডল, সহকারী রেজিস্ট্রার হাফিজার রহমান তুফান, আমির হোসেন কর্মচারী, সেকশন অফিসার মনিরুজ্জামান পলাশ, উপ রেজিস্ট্রার তাওহিদুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার রফিকুল হাসান রাসেল, মাস্টার রোলের কর্মচারী নুর নবী। বেরোবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার ওরফে টগর, সহসভাপতি বিধান বর্র্মণ, সহসভাপতি ফজলে রাব্বি, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহাম্মেদ তানভীর, মমিনুল হক, আখতার হোসেন, শাহিন ইসলাম, সাব্বির ওরফে রিয়ান, শাখাওয়াত হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় রায়, মোশারাফ হোসেন, আবদুল আল নোমান, রিফাত হোসেন, ফরহাদ হোসেন, আবির শাহারিয়ার অনীক, আরিফুজ্জামান ইমন, গাজিউর রহমান, ইমরান চৌধুরী, সিজান আহাম্মেদ, আরাফাত রহমান, সইবুল হোসেন, আবদুলা আল রায়হানসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড, শওকত আলী জানান ৫ আগস্টের পর দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর বেরোবিতে আন্দোলন দমন ও তান্ডব চালানোর ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কালে ওই সময়ের ভিডিও ছবিসহ আনুষঙ্গিক প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে ৭১ জন শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীকে চিহ্নিত করে নিশ্চিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সব কিছু পর্যালোচনা করে ৭১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তির নামে বুধবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।