আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকরা সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, (আইসিসি) বাংলাদেশ পরিদর্শন করেন। তারা সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ ও নাসের এজাজ বিজয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত নিনা পি কেইংলেট, ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন হাজি ওথমান, মিয়ানমার ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ইউ কিয়াও সোয়ে মো, রয়্যাল থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর পানোম থংপ্রায়ুন, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিষয়ক তৃতীয় সচিব এম রবি ফিরলি হারখা এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক ও আইটি কর্মকর্তা সাপ্ত রুদিয়ান্তো। এ সময় আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমিত রপ্তানির কারণে বাংলাদেশ ও আসিয়ানের মধ্যে বিশাল বাণিজ্য ব্যবধান তৈরি হয়েছে। তাই বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়ানোর জন্য তিনি অনুরোধ জানান।
তিনি আসিয়ান কূটনীতিকদের বাংলাদেশকে আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি এ দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ করার জন্য সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করার অনুরোধ করেন। আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগবান্ধব নীতি এবং টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইসিটি এবং জ্বালানি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে সুযোগসুবিধা তুলে ধরেন। আসিয়ান ঢাকা কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মান কুওং, আসিয়ান কূটনীতিকদের আইসিসি বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আইসিসি বাংলাদেশ সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন, আসিয়ান বাংলাদেশকে এমন একটি দেশ হিসাবে বিবেচনা করে যার আসিয়ানে রপ্তানি সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশকে এসব দেশে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে এবং পণ্যের প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং উপকূলীয় জাহাজ চলাচল রুট স্থাপনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি বাংলাদেশের সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া আসিয়ান দেশগুলো পর্যটনের প্রসার ঘটাতে পারে এবং সেবা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে, বিশেষ করে বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারে।