‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে কর্মরতরা রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তিসহ দুই দফা দাবি নিয়ে যমুনা অভিমুখে মিছিল করলে কাকরাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা সড়কে বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
রবিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার পর জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে যাত্রা শুরু করেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের আন্দোলনরত কর্মীরা। তবে কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়, যার ফলে সেখানেই তারা অবস্থান নেন।
এর আগে গত ২৮ মে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চার দফা দাবি নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন তারা। আন্দোলন চলাকালে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
দাবি চারটি থেকে হালনাগাদ করে বর্তমানে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—১. সমগ্রেডে পদ সৃষ্টি করে প্রকল্পের সকল জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা। ২. বকেয়া বেতন ও ভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বরে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তারা কাজ শুরু করেন। বর্তমানে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় তথ্যকেন্দ্রে প্রায় ১,৯৬৮ জন কর্মী মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে রয়েছেন—তথ্যসেবা কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড), তথ্যসেবা সহকারী (১৬তম গ্রেড), অফিস সহায়ক (২০তম গ্রেড)
তাদের দাবি, তৃণমূল নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, আইন, জেন্ডার, ব্যবসা, পরিবার পরিকল্পনা এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। তবুও তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক