বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা এবং সহজলভ্য, যা বিশেষ করে তরুণদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। সিগারেটের এই সহজলভ্যতা কমাতে এর ওপর কার্যকর করারোপ ও মূল্য বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। তাই আসন্ন বাজেটে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে তিনটিতে নামিয়ে আনা এবং দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে তরুণ চিকিৎসকরা।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করে তারা। তারা বলেন, তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সিগারেটের কর কাঠামোর সংস্কার এবং মূল্য বাড়ানো হলে সিগারেট ব্যবহারকারীরা নিরুৎসাহিত হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় এবং প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তরুণ চিকিৎসকরা বলেন, বাংলাদেশে সিগারেট অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য। বাংলাদেশের সিগারেট কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল, যা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে যথেষ্ট কার্যকর নয়। বর্তমানে আমাদের দেশে চারটি (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) মূল্যস্তর থাকায় তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দামের পার্থক্য খুব সামান্য হওয়ায় ভোক্তারা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে যেতে পারছে। তাই নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে দাম বাড়ানো হলে তরুণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের ফারজানা রহমান মুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরামর্শক ও জয়ীতা ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাইমুল আজম খান, সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার ও সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর, প্রজ্ঞা’র হেড অব প্রোগ্রামস মো. হাসান শাহরিয়ার ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত