দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠকের পর আজও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বিকাল থেকে এ বৈঠক শুরু হতে পারে। সর্বদলীয় বৈঠক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বসবেন। দলগুলোর তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনের ঐক্য কয়েক মাস বজায় থাকলেও তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে প্রথমে ছাত্রদের মধ্যে অনৈক্য দেখা দেয়। তারপর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেনের দূরত্ব তৈরি হয়। এরপর নতুন দল এনসিপির আত্মপ্রকাশের পর সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে মিত্র দলগুলোর মধ্যে বিভেদ স্পষ্ট হতে শুরু করে। এর মধ্যে বিএনপি ও এনসিপি পাল্টাপাল্টি ছয়জন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে। নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে এনসিপি। একের পর এক আন্দোলনে অচল হয়ে যাচ্ছে রাজধানী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়েও সরকারের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ইস্যুগুলোর সমাধান করতে চাইছেন ড. ইউনূস। আজকের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা জানিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, তাকে একজন উপদেষ্টা কল করে বৈঠকে থাকতে পারবেন কি না জানতে চেয়েছেন। সময় জানতে চেয়েছেন। তিনি পারবেন বলে জানিয়েছেন। বিকাল ৫টার দিকে বৈঠক হতে পারে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গতকাল সন্ধ্যায় জানান, বৈঠকের কথা শুনেছেন। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ পাননি। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন রাত ৮টার দিকে জানান, তখনো তিনি আমন্ত্রণ পাননি। তবে তার সঙ্গে প্রেস সচিবের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তালিকা তৈরি হচ্ছে।