জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠান জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (Johns Hopkins University)-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে অবস্থিত এই শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের মাধ্যমে দেশে জনস্বাস্থ্য শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিষয়টি শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, “প্রাথমিক আলোচনা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি এখন আমাদের সঙ্গে কাজ শুরু করতে প্রস্তুত।”
এই অংশীদারিত্বের আওতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাথমিকভাবে জনস হপকিন্সের সহায়তায় মাস্টার অব পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) প্রোগ্রামের সিলেবাস বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আধুনিকায়ন করবে। পরবর্তীতে প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদের সঠিক বিন্যাস নিশ্চিত করা হবে এবং জনস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উভয় প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে গবেষণা শুরু করবে।
তিনি আরও জানান, তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং WHO, UNDP, ব্র্যাকের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, আইসিডিডিআর,বি-এর মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই নিজস্ব এমপিএইচ প্রোগ্রাম চালু করবে।
প্রফেসর আমানুল্লাহ বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট থেকে ইতিমধ্যে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। আমাদের বিদ্যমান সম্পদ এবং দেশি-বিদেশি স্কলারদের সঙ্গে যে সংযোগ আছে, তা কাজে লাগিয়ে আমরা জাতিকে বাংলাদেশের একটি সেরা এমপিএইচ প্রোগ্রাম উপহার দিতে পারবো বলে আশা করি।”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আরও বলেন, প্রচলিত ধারণা পরিবর্তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কিংবা সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মতো বিশ্বজুড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু বোর্ড নয়; বরং তারা দেশের কল্যাণে বিশাল গবেষণাগার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেন্টার এবং উন্নতমানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক