দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক ফুটবল সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দশবার অংশগ্রহণ করেছে। শেষ নয়বারের মধ্যে দুইবার চ্যাম্পিয়ন ও দুইবার রানার্সআপ হওয়ার সাফল্য পায় লাল-সবুজের যুবারা। এর মধ্যে ২০১৫ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরে স্বাগতিক বাংলাদেশ। পরে নেপালে ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতে লাল-সবুজের যুবারা। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে। সবশেষ ভুটানে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রতিযোগিতার ফাইনালে বয়সভিত্তিক এ টুর্নামেন্টের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশের যুবারা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারও শ্রীলঙ্কায় চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। আজ কলম্বোর রেসকোর্স স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় টানা দ্বিতীয়বারে মতো শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে নামবে দুই দল। বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতায় এখনো শিরোপা জিতেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে গতবার বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়ে এ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ফলে এবার বাংলাদেশের যুবাদের সামনে প্রথমবার সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফির হাতছানি ও গতবারের হারের প্রতিশোধ। এ ছাড়া টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত হারেনি কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ কোচ ও অধিনায়ক। সেমিতে নেপালকে হারায় ভারত।
গতবারের মতো এবার আর স্বপ্নভঙ্গের হতাশায় ডুবতে চান না তারা। শোনালেন ফাইনালে ভালো করার আশাবাদ। গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমাদের যে লক্ষ্য, আমরা তার খুব কাছাকাছি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে শিরোপার মঞ্চে এসেছে ছেলেরা। সবার কাছে দোয়া চাই, লক্ষ্য পূরণ করতে পারি।’ কোচের সুরে সুর মিলিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সালও। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করা এই ফরোয়ার্ড ফাইনালেও গ্যালারিতে সমর্থকদের দেখতে চান জানিয়ে বলেন, ‘ভালো লাগছে, ভালো খেলে আমরা ফাইনালে উঠেছি। প্রথম ম্যাচ থেকে যেভাবে সমর্থন দিয়েছেন ফাইনালেও সেভাবে সমর্থন দিয়ে যাবেন, যেন আমরা ভালো করতে পারি।’