নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দরজা উন্মোচনের মাধ্যমে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, “যে বাংলাদেশ এখন ২.০ যুগে প্রবেশ করেছে, সেখানে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করণীয়।”
শনিবার (১৯ এপ্রিল) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বাংলাদেশ স্টাডিজ’-এর প্রথম দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কনফারেন্সটি আয়োজন করে তুরস্কের তিজারেত বিশ্ববিদ্যালয়, যা এবারই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এবং দুই দিনব্যাপী চলবে। অনুষ্ঠানের অনারারি চেয়ার ছিলেন তিজারেত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. নিজুব শিমসেখ।
অধ্যাপক ড. ইসমাইল তার বক্তব্যে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবনী চিন্তাধারার বিকাশ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং গবেষণার মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
নোবিপ্রবি ভিসি বলেন, “জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে, যা তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে।”
তিনি বলেন, “উচ্চশিক্ষায় গবেষণাকে বাজারমুখী করতে হবে, পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডাটা সায়েন্সের ব্যবহার বাড়াতে হবে।” তিনি প্রযুক্তির টেকসই উন্নয়ন এবং সৃজনশীল মনোজগত গঠনের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
এসময় তিনি নতুন প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে আমূল পরিবর্তন এনে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে হবে।”
কনফারেন্সে বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমলা ও রাজনীতিকরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন—আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও প্রাক্তন এমপি ড. ইয়াসিন আকতাই, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক এবং ইস্তাম্বুলের রি-প্রোসপারিটি পার্টির ডেপুটি দোগান বিকিন।
প্রযুক্তি ও জ্ঞাননির্ভর ভবিষ্যতের পথনির্দেশনায় এই সম্মেলনটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম