গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে ওয়ার্ড কাউন্সিল না করে সরাসরি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১১ জুন) বিকেলে সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউজ্জামান শাফি।
তিনি বলেন, “উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে ভোটের মাধ্যমে বিএনপির কমিটি গঠিত হলেও বনগ্রাম ইউনিয়নে কাউন্সিল ছাড়াই গোপনে কমিটি গঠনের চেষ্টা চলছে। জেলা ও উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা নিজেদের স্বার্থে এই অনিয়মে লিপ্ত।”
তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালের ৬ মার্চ বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলেও তা এখনো অনুমোদন পায়নি। অথচ চলতি বছরের ১৬ মে সেই কমিটি ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি, উপজেলা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি।”
শাফি অভিযোগ করেন, “স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের উপেক্ষা করে, কিছু সুবিধাভোগীকে দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নে ফ্যাসিবাদী পন্থায় অনিয়ম করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। বনগ্রাম ইউনিয়নেও একই কৌশলে কমিটি গঠনের চেষ্টা চলছে।”
তিনি দাবী করেন, “ওয়ার্ড পর্যায়ে গণতান্ত্রিকভাবে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বনগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আবু হোসেন মণ্ডল এবং উপজেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল বলেন, “সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। বনগ্রামে অনেক আগেই ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয়েছে। সময়মতো ইউনিয়ন কমিটির জন্য নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ