ভারী বৃষ্টি মানেই পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা মানুষের বিপদের হাতছানি। প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় ধসে মাটিচাপায় প্রাণহানি ঘটছেই। ২০১৭ সালের ১৩ জুন একরাতে কাউখালীতে অতিভারী বৃষ্টি, বর্জপাতের ফলে প্রায় দুই শতাধিক স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সে রাতেই মাটি চাপায় মারা যায় ২১টি তাজা প্রাণ। রাঙামাটি জেলায় এই দিনে মাটি চাপায় ঝড়ে যায় ১২০ প্রাণ।
পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসের কারণে এতগুলো প্রাণ ঝড়ে গেলেও এখনো সচেতন হয়নি হাজারো মানুষ। কাউখালীতেই এখনো ৩ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে পাহাড়ের পাদদেশে।
এই ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সচেতন করতে বুধবার ( ২৫ জুন) বিকেলে জনসংযোগ কার্যক্রম ও লিফলেট বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ কাউখালী উপজেলা শাখার সদস্যরা।
তারা উপজেলা সদর, বেতছড়ি, মিনিমার্কেট ও কচুখালী এলাকায় এ জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন। লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসের ঝুঁকি, পাহাড় কাটার ক্ষতি সম্পর্কেও জনসাধারণদের অবহিত করেছেন।
কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান, সহসভাপতি সাহিদা আক্তার মুন্নি, যুগ্ম সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার মাহি, সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল মিম, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক রেমি দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক মো. এরশাদ, কার্যকরী সদস্য সেঁজুতি চাকমা, রিয়া আক্তারসহ শুভসংঘের অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে বর্ষার মৌসুমে অতি বৃষ্টি মানেই এখানকার বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কপালে দুঃচিন্তার ভাজ। এখানে অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট পাহাড় ধ্বস ও বন্যা সহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে জনগণের। আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় জনগণের অসচেতনতা কারণে।দুর্যোগ সৃষ্টি বা পূর্বাভাস পেলে করণীয় সম্পর্কে পর্যাপ্ত সচেতনতা থাকলে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করছি। এমতাবস্থায়, পাহাড় ধ্বসের সচেতনতা ও পূর্বাভাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের আজকের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।