‘বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে শাবিপ্রবি, নেপথ্য কি?’ শিরোনামে গত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শাবিপ্রবি পিছিয়ে পড়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর র্যাঙ্কিংয়ে গুরুত্ব দিতে ৪টি প্রদক্ষেপ বাস্তবায়নে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রদক্ষেপ সমূহ হলো-
১. সকল বিভাগকে আগামী ০২ (দুই) মাসের মধ্যে তাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠনপূর্বক (যদি ইতোমধ্যে না করা হয়ে থাকে) নির্বাহী কমিটির তথ্য বিভাগীয় ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা।
২. সমস্ত শিক্ষক সদস্যদের একাডেমিক কাজের জন্য, বিশেষ করে গবেষণাপত্র জমা ও পেশাগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে শাবিপ্রবির অফিসিয়াল ইমেইল বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা। শিক্ষক প্রোফাইল নিয়মিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ রাখা। বিভাগীয় প্রধানগণ কর্তৃক এই বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করা।
৩. প্রত্যেক বিভাগের বিভাগীয় ওয়েবপেজ নিয়মিত হালনাগাদ করা যেখানে গবেষণামূলক কার্যক্রম, পাঠ্যক্রম, অনুদান/ফান্ডিং, প্রাক্তন ছাত্রদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের প্রোফাইল এবং বিভাগীয় কার্যক্রম সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৪. বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে একাডেমিক সুনাম বৃদ্ধির জন্য যারা একাডেমিক অথবা গবেষণা খাতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন, এমন খ্যাতিমান প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিংয়ে শাবিপ্রবির অন্তর্ভুক্তির জন্য আগামী জানুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত সময়কালে তিনটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত র্যাঙ্কিং সিস্টেম ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাঙ্কিং এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ফর সাস্টেইনিবিলিটি’-এর জন্য আবেদন প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ