ভ্রমণ শুধু আনন্দের উৎস নয়, বরং এটি দায়িত্বশীলতার চর্চারও এক দৃষ্টান্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বেড়াতে যাওয়া মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘কনশাস ট্যুরিজম’ ধারণাটি, যার মূলমন্ত্র- ভ্রমণের সময় প্রকৃতি, স্থানীয় মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি দায়িত্বশীল থাকা।
‘কনশাস ট্যুরিজম’র মূল বার্তাগুলি হল-
১. স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা:
ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক ও রীতিনীতির সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে স্থানীয়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যায়।
২. পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ (ইকো ট্যুরিজম):
নির্ধারিত ডাস্টবিনে আবর্জনা ফেলা, সৌরশক্তি-নির্ভর ইকো রিসর্টে থাকা, পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করা ও জল সংরক্ষণ করাকে উৎসাহিত করা হয়।
৩. স্থানীয় ব্যবসার প্রতি সহায়তা:
স্থানীয় হস্তশিল্পীদের থেকে কেনাকাটা, স্থানীয় গাইডের সহায়তা নেওয়া এবং ছোট ব্যবসার পণ্য বেছে নেওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখা যায়।
৪. প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ:
ট্রেকিং বা সাফারির সময় বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি না করা, বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত না করা এবং কার্বন ফুটপ্রিন্ট কম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫. সম্পদের পরিমিত ব্যবহার:
পানি, বিদ্যুৎ ও খাবারের অপচয় না করে সচেতনতার সঙ্গে ব্যবহার করার অনুশীলনই ‘কনশাস ট্যুরিজম’-এর অন্যতম দিক।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ