সিম সোয়াপিং, সেই ছদ্মবেশী কৌশল, যেখানে প্রতারকরা আপনার ফোন নম্বর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। একবার নম্বর হাত বদলালে SMS-ভিত্তিক টু-ফ্যাক্টর কোড, কল-সবই তাদের কাছে চলে যায় এবং আপনি অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে লকআউট হয়ে পড়তে পারেন। এফবিআই জানিয়েছে, এই অভিযোগ দ্রুত বাড়ছে এবং যন্ত্রণার পরিমাণও বড়, তাই সতর্কতা আবশ্যক।
এটি কীভাবে কাজ করে?
প্রতারকরা ডার্ক ওয়েব, ডেটা ব্রিচ বা ফিশিং থেকে সংগৃহীত ব্যক্তিগত তথ্য কাজে লাগিয়ে ফোন অপারেটরের কাছে ছদ্মরূপে নম্বর স্থানান্তরের অনুরোধ করে। ক্যারিয়ারের ভুল যাচাইয়ের সুযোগে নতুন সিম/ই-সিম নম্বর চুরি হয়ে যায়। তবে প্রতিরোধের চারটি শক্ত পদক্ষেপ রয়েছে। জেনে নিন সেসব...
♦ শক্ত পাসওয়ার্ড ও পাসফ্রেস : প্রতিটি অ্যাকাউন্টে আলাদা, দীর্ঘ এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন।
♦ SMS নয়—MFA অ্যাপ/হার্ডওয়্যার কিগুলো ব্যবহার করুন : Google Authenticator, Authy বা নিরাপদ হার্ডওয়্যার কিগুলো SMS -এর চেয়ে অনেক নিরাপদ।
♦ ক্যারিয়ারে অতিরিক্ত নিরাপত্তা : PIN, পাসকোড বা ভেরিফিকেশন চেয়ে রাখুন-এটি নম্বর ট্রান্সফার কঠিন করে। ক্যারিয়ার সাপোর্টে জিজ্ঞাসা করে সিম-সোয়াপ প্রতিরোধে অপশন যোগ করে নিন।
♦ ফিশিং থেকে সাবধান : অনিচ্ছু লিংক ও অনুরোধে ব্যক্তিগত তথ্য দেবেন না; সন্দেহ হলে সরাসরি সংস্থার চ্যানেল যাচাই করুন।
যদি শিকার হন
ফৌজদারি অভিযোগ ও পুনরুদ্ধারের জন্য দ্রুত আপনার মোবাইল অপারেটরকে কল করুন, পরে FTC/IC3 -তে রিপোর্ট করুন, আর যদি কার্ড পেমেন্ট নম্বর চুরি হয়, ব্যাংককে সতর্ক করুন এবং তিনটি ক্রেডিট এজেন্সিকে জানিয়ে ক্রেডিট ফ্রিজ অথবা জালিয়াতি সতর্কতা দিন। আপনার কার্ড জালিয়াতির ঝুঁকিতে রয়েছে তা ব্যাখ্যা করুন এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক করার অনুরোধ করুন। সিম সোয়াপিং প্রতিরোধে সচেতনতা, শক্ত পাসওয়ার্ড ও SMS -মুক্ত MFA হলো সবচেয়ে কার্যকর সুরক্ষা। একটু সতর্কতায় অনলাইনে অনেক বড় ঝুঁকিগুলো এড়াতে পারবেন।