এশিয়া কাপ শুরু হতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্ট। বড় দলগুলোর স্কোয়াড নিয়ে চলছে আলোচনা, বিশ্লেষণ। তবে হঠাৎ করেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ওমানের ক্রিকেটার মুহাম্মাদ ইমরান।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতারের সঙ্গে মিল রয়েছে বোলিং অ্যাকশন এবং চেহারায়ও। সে কারণেই তাঁকে ডাকা হয় ‘ওমানের শোয়েব আখতার’ নামে। কিন্তু শুধু চেহারা বা অ্যাকশন নয়, তাঁর জীবনের গল্পও যেন কোনো সিনেমার চিত্রনাট্য।
পাকিস্তানের আফগান সীমান্ত ঘেঁষা একটি প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম ইমরানের। পরিবার চেয়েছিল, তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। কিন্তু ইমরানের মন পড়ে ছিল ক্রিকেটে। সেই স্বপ্ন পূরণে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। ট্রাকে করে দীর্ঘ তিন দিনের ভ্রমণ শেষে পৌঁছান করাচিতে।
সেখানেই জীবন পায় নতুন গতি। করাচির অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ট্রায়ালে অংশ নিয়ে ৬ ম্যাচে ২১টি উইকেট শিকার করেন। ঘণ্টায় ১৪৩ কিলোমিটার গতিতে বল করে নজর কাড়েন খোদ ওয়াসিম আক্রমের। কিন্তু দেশের ক্রিকেট রাজনীতির বলি হয়ে থেমে যেতে হয় সেই যাত্রা।
তবে ২০১৯ সালে আসে আরেক মোড়। বন্ধুর আপলোড করা একটি ইউটিউব ভিডিও বদলে দেয় ভাগ্য। সেই ভিডিও দেখে তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায় ওমানের একটি টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ওমান ফিরে ইমরান শুরু করেন নতুন লড়াই। দিনে ১২ ঘণ্টা সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ করতেন, আর বাকি সময় ব্যয় করতেন অনুশীলনে।
অবশেষে ২০২৪ সালে ওমানের একটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ১৪ ম্যাচে ২১ উইকেট। সেখান থেকেই জাতীয় দলে ডাক। চলতি বছর টি-টোয়েন্টি এবং একটি ওয়ানডে ম্যাচেও অভিষেক হয়েছে তাঁর।
বিডি প্রতিদিন/মুসা