বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এখন নেপালে। ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর জামাল ভূঁইয়ারা নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন। যাওয়ার আগে কিছুটা বিপাকে পড়েছিল দল। দুপুর দেড়টায় ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও ফ্লাইট জটিলতার কারণে সন্ধ্যা ৭টায় কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ফ্লাইট ছাড়ে। বাফুফে থেকে বলা হয়, ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন হওয়ায় এমনটি হয়েছে। অন্য কোনো সমস্যা নেই। অক্টোবরে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলা। তার আগে প্রীতি ম্যাচ দেখে শিষ্যদের ঝালাই করে নিতে চান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলে কোনো প্রবাসী ফুটবলার খেলবেন না। হামজা দেওয়ান চৌধুরীকে ছাড়েনি তার ক্লাব লেস্টার সিটি। কানাডিয়ান প্রবাসী সামিত সোমও নেই। ফাহমিদুল অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলতে ভিয়েতনামে রয়েছেন। এক সময় নেপালকে হেসে খেলে হারানো গেলেও এখন তা সম্ভব নয়। দুই দেশের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। নেপালের মাটিতে নেপালকে হারানোটা সত্যিই কঠিন। যদি জামালরা সিরিজ জেতেন তাহলে হংকংয়ের বিপক্ষে উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামতে পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে না কেন? এ ক্ষেত্রে বাফুফে হয়তো অন্যদের শিডিউলের কথা বলবে। বাস্তবতা হচ্ছে বাফুফের অনুরোধে সাড়া দেয় না। তা ছাড়া নেপাল তো আর দুর্বল নয়। জামালদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলা যায়। নেপালের মাটিতে দুই ম্যাচ জেতাটাও হবে বড় প্রাপ্তি।
নেপালে খেলা বলে বাংলাদেশ নেপাল যাবে তা স্বাভাবিক ঘটনা। তারপরও এ ট্যুরকে ব্যতিক্রমী বলা যায়। জাতীয় দল ঢাকা ছাড়ার আগে আগের দিন অধিনায়ক ও কোচ মিডিয়ার মুখোমুখি হন। এটা বাধ্যতামূলক না হলেও দীর্ঘদিন হয়ে আসছিল বলে তা নিয়মে পরিণত হয়েছিল। এবার তাহলে সংবাদ সম্মেলন হলো না কেন? বলা হচ্ছে কোচ করতে চাননি। ফুটবল ফেডারেশন যদি বলত তাহলে কোচ কি না করতে পারতেন। জানা গেছে, হামজা বিষয়টি এড়াতে এ ঘটনা। হামজা খেলবেন বলে বলা হচ্ছিল, অথচ যাওয়ার একদিন আগে দলীয় ম্যানেজার আমের খান বললেন, লেস্টার সিটি অনুমতি না দেওয়ায় নেপালে খেলবেন না হামজা। বাংলাদেশের ক্যাম্প শুরু হয়েছিল বেশ আগেই। তখন কি হামজাকে পেতে লেস্টারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল? এখন তো সব বিতর্ক শেষ ইনজুরির কারণে হামজার আসা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ দল
গোলরক্ষক : সুজন হোসেন, মিতুল মারমা, পাপ্পু হোসেন
ডিফেন্ডার : তপু বর্মণ, রহমত, ইসা ফয়সাল, তাজউদ্দিন, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, মেহেদী হাসান, ওমর
মধ্যমাঠ : হৃদয়, জামাল, সৈয়দ শাহ কাজেম, পাপন, সোহেল রানা, সোহেল রানা (ছোট),
ফরোয়াড : আরিফ, ফয়সাল, রাকিব, ইব্রাহিম, সুমন ও শাহরিয়ার ইমন ।