দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে তা কমানো সম্ভব।
রবিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই গণশুনানি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
গণশুনানিতে কাজ করে দেওয়ার কথা বলে ‘পাকা কলা ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে বদলির নির্দেশ দেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
রুস্তম আলী নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, আলমগীর হোসেন তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য পাকা কলা ও নগদ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এরপরও কাজ না করে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। অভিযোগের জবাবে আলমগীর হোসেন কলা খাওয়ার কথা স্বীকার করলে তাকে অন্যত্র বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হবে না, তবে তা কমানো যাবে। গণশুনানির মাধ্যমে আমরা জনগণকে সরকারি কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করে দিচ্ছি না; বরং উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পৃক্ততা তৈরি করছি। এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পাবে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি শুধু সরকারি অফিসেই নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। দুদক চাই, প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের আইনের মুখোমুখি করতে।
বিশেষ অতিথি দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, দুদকের কাজ ভয় দেখানো নয়, বরং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। এই গণশুনানি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুনানিতে পাওয়া সব অভিযোগ লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর যেসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে, সেসবের বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গণশুনানিতে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা ৭৫টি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন