জাতীয় অ্যাথলেটিকস এলেই নানা রকমের সন্দেহ-সংশয় দানা বেঁধে ওঠে। বিচারকদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনকে নাড়িয়ে দেয়। অতীতের এসব সন্দেহ-সংশয় দূর করে নতুন উদ্যমে জাতীয় এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায় অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। এরই মধ্যে বিচারকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে কর্মশালা। বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়েও অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈঠক। নিরপেক্ষভাবে বিচার করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস। তিন দিনব্যাপী জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে ৩৫টি সংস্থার ৪০২ অ্যাথলেট নাম লিখিয়েছেন এরই মধ্যে। তবে আরও অন্তত ১৫টি সংস্থার অ্যাথলেটরা এই জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। এ সময় ফেডারেশনের সহসভাপতি ইকবাল হোসেন এবং সদস্য মজিবুর রহমান মল্লিকও পাশে ছিলেন। ছেলেদের ২২টি এবং মেয়েদের ১৮টি মোট ৪০টি ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় অ্যাথলেটিকস। এবার স্প্রিন্টে অংশ নিচ্ছেন ইমরানুর রহমান। তার অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন ইমরানুর। এবার আরও ভালো টাইমিং করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। এসএ গেমসে সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই প্রস্তুত হচ্ছেন ইমরানুর। জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস অনুষ্ঠিত হবে তিনটি ভেন্যুতে। ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে। আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে হ্যামার থ্রো, ডিসকাস থ্রো, শটপুট এবং জ্যাভলিন থ্রো। বাকি ইভেন্টগুলো হবে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে। গতকাল অ্যাথলেট জহির রায়হানের নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, ‘তাকে আমরা শোকজ করেছিলাম, কেন সে ফেডারেশনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে। কোনো উত্তর পাইনি। এ কারণেই তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এমনভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে যেন সামনের এসএ গেমসে সে খেলতে পারে।’ আগামী বছর পাকিস্তানে এসএ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই গেমসে ভালো করার লক্ষ্যেই প্রস্তুতি চলছে অ্যাথলেটিক ফেডারেশনে।