পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে এমন তিনটি বিশাল আকারের গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এসব মহাজাগতিক শিলার আঘাতে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে পুরো একটি শহর।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এই আশঙ্কাজনক তথ্য জানিয়েছেন। Astronomy and Astrophysics নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘২০২০ এসবি’, ‘৫২৪৫২২’ এবং ‘২০০২ সিএল১’ নামের তিনটি গ্রহাণু বর্তমানে শুক্র গ্রহের কক্ষপথের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এগুলোর অবস্থান এমন জায়গায়, যেখানে সূর্যের আলোয় ঢাকা পড়ে থাকে, ফলে পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপ দিয়ে সেগুলো দেখা খুবই কঠিন।
গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেওয়া ব্রাজিলের সাও পাওলো স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ভ্যালেরিও কারুবা জানান, যদিও এই মুহূর্তে গ্রহাণুগুলোর কক্ষপথ শুক্র গ্রহের খুব কাছাকাছি নয়। তবে সামান্য কোনো মহাকর্ষীয় (gravitational) পরিবর্তন হলেই এগুলোর পথ পরিবর্তন হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এই গ্রহাণুগুলোর একটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলে প্রায় তিন কিলোমিটার চওড়া একটি গর্ত তৈরি হতে পারে এবং সেই আঘাত থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হবে, তা হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে কয়েক লাখ গুণ বেশি।
বিজ্ঞানীরা জানান, এই গ্রহাণুগুলো শুক্র গ্রহের সঙ্গে সংঘর্ষের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকলেও পৃথিবীর জন্য তা নয়। এদের সূর্যের বিপরীতে এমন স্থানে অবস্থান করায়, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টের পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
মহাজাগতিক হুমকি পর্যবেক্ষণকারী চিলির রুবিন মানমন্দির (Rubin Observatory) এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য সংঘর্ষের মাত্র দুই থেকে চার সপ্তাহ আগেই সতর্কবার্তা দিতে পারবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, শুক্র গ্রহের কাছাকাছি কক্ষপথে একটি নির্দিষ্ট মহাকাশ-ভিত্তিক মিশন ছাড়া এসব লুকিয়ে থাকা ভয়ংকর গ্রহাণুকে সময়মতো শনাক্ত করা কঠিন হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল