বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আর ঘনীভূত হয়ে রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এই ঘূর্ণিবায়ু চক্রের নাম হবে ‘মোনথা’। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থায় এই নামটি প্রস্তাব করেছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষায় এর অর্থ সুন্দর বা সুবাসিত ফুল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে সরাসরি আঘাতের আশঙ্কা না থাকলেও সাগর কিছুটা উত্তাল থাকবে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের তিন নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অর্থাৎ, ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি ররিবার ভোর ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রর ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে এ ধরনের নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় নতুন কিছু নয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। তাই উপকূলের মানুষ ও জেলেদের সতর্ক থাকতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কামাল