সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, বাংলাদেশের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান আমাদের সামাজিক–সাংস্কৃতিক ভিন্নতাকে শক্তিতে রূপান্তর করেছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা সাংস্কৃতিক বিভাজন সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বিভাজন নিরসনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে কাজ করছে।
স্পেনের বার্সেলোনায় তিন দিনব্যাপী বিশ্ব সাংস্কৃতিক নীতি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে পাঠনো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ ফোরাম উদ্বোধন করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ। বিশ্বের শতাধিক সংস্কৃতি মন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা যেখানে সব জাতিগোষ্ঠীকে একত্রে নববর্ষ উদযাপনে যুক্ত করা হয়েছে যা গত ৫৪ বছরে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক নীতি অনুসরণ করছে সরকার। এ বছর দুর্গাপূজা, ঈদ ও বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নেওয়া উদ্যোগ তার প্রমাণ।
উপদেষ্টা বলেন, উদ্ভাবনী অর্থায়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে টেকসই করতে সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব অপরিহার্য। এ সময় তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, ডিজিটাল মাধ্যম ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক কনটেন্ট বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে।
বাংলাদেশের এই দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন ফিনল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, মাল্টা ও পোল্যান্ডের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সাংস্কৃতিক নীতি নির্ধারকদের সবচেয়ে বড় এ সমাবেশ আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। -বাসস
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ