জাতীয়করণসহ বেশ কিছু দাবি মেনে নিতে সরকারকে এক মাস সময় দিলো ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন জোটের নেতারা।
আজ বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর প্রেসক্লাবের সামনে এসে এ ঘোষণা দেন জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস এবং ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালান করা হবে। তাতেও না হলে ১২ অক্টোবর থেকে প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বাড়ি ভাড়া ৫০% থেকে ৭৫% করে ডিউ লেটার অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় আমাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, সব দাবি একবারে পূর্ণ করা সম্ভব নয়। আমরা এই দাবিগুলো পূরণে কী পরিমাণ অর্থ লাগবে তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। প্রস্তাব রেখেছি, আমাদের বাড়ি ভাড়া পার্সেন্টেজ হিসেবে বাড়াতে হবে।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে ২০% বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। চিকিৎসা ভাতা ৫০০ থেকে ১০০০ করা হবে। আমরা এই বিষয় নিয়ে আর বেশি কিছু বলিনি। আমরা বাড়ি ভাড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ডিউ লেটার পাঠানো না হয় তাহলে আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাব।
এর আগে দুপুরে শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেননি শিক্ষকরা। পদযাত্রার পরিবর্তে পুলিশের সহায়তায় শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে যান শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে।
শিক্ষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে—শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, ৪৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং বিনোদন ভাতা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ