বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারত ও আওয়ামী লীগের মতো এখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরেও মেয়র হতে দেওয়া হয়নি ইসরাককে। কোর্ট তাকে রায় দেওয়ার পরেও তাকে শপথ করানো হচ্ছে না। এখন সম্পূর্ণ প্রতিহিংসামূলক কাজ করছে সরকার।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিহিংসার রাজনীতি গণতন্ত্র সুশাসন প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশ যে দিকে যাচ্ছে... সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়ছে। এ সরকারের প্রতি জনগণের সমর্থন, আশা ও বিশ্বাস ছিল, সেই সমর্থন আশা ও বিশ্বাস আস্তে আস্তে টুটে যাচ্ছে। সরকারকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে। আমরা ড. ইউনূসের মধ্য দিয়ে একটা ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করি। যদি ডক্টর ইউনুস ফেল করে, তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করব... এদেশে গণতন্ত্রের বিধি-ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা। সুপ্রিম কোর্টের ও দায়িত্ব আছে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, অতি সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি অনুধাবন করে দ্রুত একটি ভালো জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তিনি যাবেন এ প্রত্যাশা করি।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারত সভ্য দেশ হলে আরেকটি সভ্য দেশের ভিসা বন্ধ করত না, বাংলাদেশের ট্রানজিট বন্ধ করতো না। সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশিদের হত্যা করত না। তিস্তা নদীর পানি বন্ধ করতো না।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন ,সাংস্কৃতিক দলের উপদেষ্টা মো. হাসানুল ইসলাম রাজা, তাঁতি দলের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মো. ইউনুছ আলী, বাংলাদেশ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়কারী এসএম মিজানুর রহমান প্রজন্ম একাডেমি সভাপতি কালাম, ফয়েজি মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, জাগ্রত বাংলাদেশ সভাপতি জহিরুল ইসলাম কলিমসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ