বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজে ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু গণতন্ত্র ও দেশের প্রশ্নে সবাইকে এক থাকতে হবে। সবার আগে, সবকিছুর ঊর্ধ্বে বাংলাদেশকে রাখতে হবে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ফিরে আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনসমস্যা নিরসন হবে না।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রীয়ার চেরোকি এভিনিউয়ে ডাটা গ্রুপ মিলনায়তনে ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিন্স।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। জনগণের ঐক্যই পারে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে গণতন্ত্রের পথে কাঙ্খিত পরিপূর্ণ বিজয় নিশ্চিত করতে।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পতনের পর দ্রুত সংস্কার ও নির্বাচন যখন কাঙ্খিত ছিল, তখন সরকারের একাংশ ও ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের একটি শক্তি নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন নন ইস্যুকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করে নির্বাচন ও সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নির্বাচন প্রলম্বিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে হাজার হাজার ছাত্র-তরুণের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
‘বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য শক্তি ষড়যন্ত্র করছে’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সেই অদৃশ্য শক্তি দৃশ্যমান হচ্ছে। বিএনপির অগ্রযাত্রা রোধ করতে তারা নানা চেষ্টা করছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে, জনগণ হতাশ হয়ে পড়ছে, পতিত ফ্যাসিস্ট দল ও আধিপত্যবাদী শক্তি সমাজে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সংঘাত, সংঘর্ষ, অন্তর্ঘাত সৃষ্টি করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে তৎপর।
তিনি দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রবাসী নেতাকর্মীদের প্রতি দেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরিপূর্ণ গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার রাজনীতি ও প্রশাসনে সম্পৃক্ত থেকে দেশ এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
ফ্যসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ওয়াশিংটন বিএনপির নেতাকর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তাদের এই অবদানের কথা দল স্মরণ রাখবে।
ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সহ-সভাপতি মিয়া মজনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বিএনপি নেতা নয়ন বাঙালি, জাহিদ খান, এ টি এম আলম, তুহিন ইসলাম, সৈয়দ সালেহ মনসুর পরশ, আবদুল কাইয়ুম, আরিফুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, এমডি জামান, জাহাঙ্গীর খান, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মুকতাদির, নেছার অহমেদ, কামরুন কনা, তৌহিদুল ইসলাম, নূর হোসেন বাহাদুর, আলী হায়দর, পল্লব আনসারি, মীর নাজিউর রহমান নিকসন, জহিরুল ইসলাম, আলী হায়দর, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত