আমেরিকার বৃহত্তম শহর নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অনেক দিক দিয়েই অনন্য। তিনি শহরটির ইতিহাসে ১৮৯২ সালের পর সবচেয়ে কম বয়সি মেয়র, প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম ব্যক্তি যিনি এ পদে আসীন হচ্ছেন। তার নির্বাচনি প্রচারণাকে মার্কিন প্রথম কৃষ্ণকায় প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করা বারাক ওবামার প্রার্থিতার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। কিন্তু মামদানি কি ওবামার পদাঙ্ক অনুসরণ করে হোয়াইট হাউসের জন্য প্রার্থী হতে পারবেন? উত্তর হচ্ছে, না। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট অথবা ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে হলে তাকে জন্মসূত্রে মার্কিন হতে হবে। কিন্তু মামদানি জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিক নন। আফ্রিকার দেশ উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় তার জন্ম ১৯৯১ সালে। মামদানির বাবা ও মা দুজনেই ভারতীয় বংশো™ভূত। তার বাবা ভারতীয় গুজরাটি মুসলিম ও মা পাঞ্জাবি হিন্দু। মামদানির জন্মের সময় তার মা-বাবা, কেউ মার্কিন নাগরিক ছিলেন না। মামদানির যখন সাত বছর বয়স তখন তাদের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসে। মামদানি ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পান। এদিকে নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে অভিনন্দন জানিয়ে তার বিজয়কে ‘ঐতিহাসিক প্রচারণা’ এবং ‘ভয়ের বিপরীতে আশার জয়’ বলে অভিহিত করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। -রয়টার্স
গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সাদিক খান লিখেছেন, ‘নিউইয়র্কবাসীর সামনে আশা এবং ভয়ের মাঝে ছিল এক স্পষ্ট পছন্দ। আর যেমনটা আমরা লন্ডনে দেখেছি- আশাই জিতেছে।’ মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, মামদানির এ বিজয়ের ফলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দুই শহরে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুই উদারপন্থি মুসলিম নেতা; যারা অভিবাসী পরিবারের সন্তান। নিজেদের দেশে রাজনীতির ডানদিকে ঝুঁকে পড়ার প্রবণতার বিপরীতে উঠে এসেছেন তারা।