কুমিল্লার মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দৈনিক খোলা কাগজের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি মো. শাহে ইমরান মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা হলেন- মুরাদনগরের রহিমপুর গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে শুকুর আলী (৩৫), খামার গ্রামের তাজুল মেম্বারের ছেলে আশিকুল ইসলাম সিদ্দিকী (২১), সিদ্ধেশ্বরী গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম নাঈম (২৪) ও গুঞ্জর গ্রামের সামাদ মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন (২৫)। গতকাল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঘটনার পরপরই আসামিরা এলাকা থেকে পালিয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাদের গ্রেপ্তারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে পুলিশ।’ মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার বাবার বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচারের’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমবেশের আয়োজন করা হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় সংবাদকর্মীরা হামলার ফুটেজ সংগ্রহ করতে গেলে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে সাত সংবাদকর্মী আহত হন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা।
মামলার বাদী মো. শাহে ইমরান বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের মারধরের পাশাপাশি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।’