নদীতে পানি বাড়ছে, সেই সঙ্গে সাপের আতঙ্ক বাড়ছে চরাঞ্চলে। শহর এলাকায় কম হলেও, গ্রামাঞ্চলে এই আতঙ্ক দিনদিন বাড়ছে। চলতি মাসের ২৮ দিনে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় ৩০০টি সাপ হত্যা করেছে মানুষ। সুস্থ ও আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ২৫০টি। স্নেক রেসকিউ অ্যান্ড কনজারভেশন সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা বোরহান বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মৃত সাপগুলোর মধ্যে আছে গোখরা ও দারাস। এই সাপগুলোর বাচ্চা ও মা সাপ মারা পড়েছে। যদিও সব সাপ মানুষের ক্ষতি করে না। অনেক সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখে। তিনি জানান, রেসকিউ টিম এক মাসে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২০টি রাসেল ভাইপার সাপ ধরেছে। বেশির ভাগই আহত। সবচেয়ে বেশি গোখরা সাপ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সাপের উপদ্রব। এ উপজেলা থেকে সাপের রেসকিউ কল বেশি পাওয়া গেছে। তারপর চারঘাট ও বাঘা উপজেলা থেকে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে আছে পবা ও বাগমারা উপজেলা। এই দুই উপজেলা থেকে রেসকিউ কল কম পাওয়া গেছে। উদ্ধার হওয়া সাপের মধ্যে আছে দারাস, গোখরা সাপের মা ও বাচ্চা। রাজশাহী মেডিকেলের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, বর্ষা মৌসুমের সাপের উপদ্রব বেশি থাকে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী কম এসেছে। হাসপাতালগুলোতে অ্যান্টিভেনম সরবরাহ আছে। রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, সাপ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে কুসংস্কার আছে। সাপ পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখে। সাপ কৃষকের বন্ধু। সাপ ফসল রক্ষায় সহায়ক। তিনি বলেন, মানুষের ধারণা সব সাপের বিষ আছে। এ ধারণা থেকে মানুষ সাপ হত্যা করে।