‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ফ্যাসিস্ট আমলে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। কোনোমতেই তিনি তাঁর দায়িত্বের মর্যাদা উপলব্ধি করেননি এবং আমানত রক্ষা করেননি। তাঁর হঠকারী রায়ে গুম, খুন, লুণ্ঠনসহ সব অপকর্মের লাইসেন্স পেয়েছিল রাজনৈতিক মাফিয়ারা।’ গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তারের পর ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘অপেক্ষায় রইলাম...। এ বি এম খায়রুল হক ফ্যাসিস্ট আমলে প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। নাঃ কোনোমতেই তিনি তাঁর দায়িত্বের মর্যাদা উপলব্ধি করেননি এবং আমানত রক্ষা করেননি। এ মর্যাদাপূর্ণ চেয়ারে বসে ইতঃপূর্বে কেউ দেশ ও জাতির এত বড় ক্ষতি করেনি। তাঁর হঠকারী রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাফিয়াদের হাতে গুম, খুন, লুণ্ঠনসহ সব অপকর্মের লাইসেন্স ও হাতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেরিতে হলেও পাকড়াও করেছে। জাতি এখন তাঁর সুষ্ঠু বিচার এবং ন্যায্য শাস্তি দেখতে চায়। তাঁর ক্ষেত্রে আমরা শুধু ন্যায়বিচারই প্রত্যাশা করি। ন্যায়বিচারেই তিনি ইতিহাসের শিক্ষণীয় শাস্তি পাওয়ার উপযুক্ত হবেন-এ আশাই রাখি।’ এদিকে গতকাল বিকালে সিলেটের শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে জামায়াত আমির বলেন, জামায়াত ইসলাম আশা করে আগামী বছরের প্রথমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এর আগে কিছু মৌলিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, একটা যুদ্ধ হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে। দেশবাসীকে নিয়ে আরেকটা যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সে যুদ্ধেও বাংলাদেশের মানুষের জয় হবে। তিনি বলেন, আমরা জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী। আহতদের পাশেও থাকার চেষ্টা করেছি সাধ্যমতো।