মুম্বাই হাই কোর্ট ট্রেনে বিস্ফোরণ ঘটানোর দায়ে অভিযুক্ত ১২ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। ১৯ বছর পর এ রায় দেওয়া হলো এবং রায়ের পর গতকাল ১২ আসামিকে মুক্তিও দেওয়া হয়েছে। রায়ের বিষয়ে বিচারক অনিল কিলির এবং শ্যাম চণ্ডক বলেন, সরকারপক্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে অভিযুক্তরা প্রকৃত অপরাধী। এ কারণে তাদের শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে। বিচারপতিরা উল্লেখ করেন, অভিযুক্তদের সন্দেহ থেকে মুক্ত করা হলো। কোর্ট বহু সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছে। বিস্ফোরণের ১০০ দিন পর সাক্ষীদের পক্ষে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের সময় যেসব বিস্ফোরক, অস্ত্র এবং মানচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেসব মুম্বাইয়ের বিস্ফোরণে যুক্ত ছিল- এমন প্রমাণও পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই মুম্বাই শহরতলির ট্রেনে ১১ মিনিটের মধ্যে লাগাতার বিস্ফোরণে ১৮৯ জন যাত্রী নিহত হন। আহত হন আরও ৮০০ জন। এ মামলায় ২০১৫ সালে নিম্ন বিচার আদালত ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের সংঘটিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিশেষ আদালত ফয়সাল শেখ, আসিফ খান, কামাল আনসারী, এত্তেসান সিদ্দিকী এবং নাভিদ খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
বাকি মুহাম্মদ আলী, তানভীর আনসারী, মজিদ সাফি, মুজাম্মল শাইখ, সোহেল শেখ এবং জমির শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।