রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ ঘিরে বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গতকাল সরকারি ছুটির দিন হলেও ঢাকামুখী মিছিল ও সমাবেশস্থলে দলটির নেতা-কর্মীদের আসা-যাওয়ার কারণে সড়কে দেখা গেছে অতিরিক্ত চাপ। গণপরিবহন চলাচল কম থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপট ছিল সড়কে। ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে রাজধানীবাসীকে। এদিকে তীব্র যানজটের জন্য নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে জামায়াত।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য এবং সরেজমিন দেখা গেছে, তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, বিজয়সরণি, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, শনির আখড়া, রায়েরবাগ, চিটাগাং রোডসহ ঢাকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রবেশপথে সকাল থেকেই যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এ ছাড়া সমাবেশ ঘিরে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, প্রেস ক্লাব, বাংলামোটর, মগবাজার, সায়েন্স ল্যাব, চানখাঁরপুল এলাকার সড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে।
ঢাকার বাইরে থেকে আসা বাসগুলোকে সমাবেশস্থলের আশপাশে না এনে দূরের বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করা হয়। পুলিশ জানায়, পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠসহ বিভিন্ন প্রশস্ত সড়কের পাশে এসব বাস পার্কিং করা হয়েছে। সেখান থেকে নেতা-কর্মীরা হেঁটে বা রিকশায় সমাবেশস্থলে যান।
ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় ঢাকার ভিতরের যান চলাচল কম থাকলেও বাইরে থেকে বিপুলসংখ্যক বাস ঢোকে। এসব বাস থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যান। এতে স্বাভাবিক যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে।
জামায়াতের দুঃখ প্রকাশ : সমাবেশ ঘিরে যানজট ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় সাময়িক অসুবিধার জন্য নগরবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে জামায়াত। জামায়াতের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি গুগল ম্যাপের ছবি পোস্ট করে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সুপ্রিয় নগরবাসী, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশের কারণে সৃষ্ট সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আপনাদের সুবিধার্থে ম্যাপটি সংযুক্ত করা হলো।’